মেকআপ করার আগে যা করনীয়- ৫টি স্টেপে।

আসসালামু আলাইকুম সবাইকে, সুমা হেলথ কেয়ার এ স্বাগতম।আজকে আমি আপনাদের সাথে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি যা আপনার চেহারার সুন্দর, তারুন্য ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে ইনশাআল্লাহ।এই বিষয়টি হলো- মেকআপ করার পূর্বে ফেইসটা সুন্দরভাবে ক্লিয়ার করে ৫টি স্টেপ এ কাজ করা জরুরি।তাহলে ফেইস এ যতরকম মেকআপ আমরা ইউজ করি না কেনো তা আমাদের ত্বকের জন্য কোনো  ইফেক্ট পড়তে দিবে না ইনশাআল্লাহ। 

শিরোনাম: ৫টি স্টেপে জেনে নিন-মেক-আপ করার পূর্বের কাজের করনীয়।


একটি ত্রুটিহীন মেকআপ লুক পেতে আমাদের ত্বকের জন্য মূল বিষয় হলো- একটি পরিষ্কার এবং ভালো ত্বক থাকা  যা আমরা ৫টি স্টেপের মাধ্যমে করতে পারি।তাহলে আমাদের ফেইস সবসময়  উজ্জ্বল এবং গুলুমুলু দেখাতে পারে।এছাড়াও চেহারার মধ্যে কোনো সাইড ইফেক্টের সমস্যা দেখা নাও দিতে পারে। 

৫টি স্টেপের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরন হলো:

  • ফেইসওয়াশ
  • ১টি তোয়ালে বা টিসু 
  • কিউকামবার টোনার(আপনার পছন্দ অনুযায়ী টোনার)
  • ময়েশ্চারাইজার ক্রিম যেকোনো ধরনের।(যেমন-ভেসলিন ময়েশ্চারাইজার)
  • গোলাপজলের স্প্রে (যেকোনো ধরনের স্প্রে ব্যবহার)

৫টি স্ট্রেপ এ মেকআপ লুক ব্যবহার করার নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:

ধাপ-1:আমাদের মুখ পরিষ্কার করার জন্য ফেইসওয়াশ বা ক্লিন্জিং ব্যবহার করার নিয়ম :

আমাদের মেকআপ রুটিনের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল আমাদের মুখ পরিষ্কার করা। তার জন্য আমাদের ত্বক থেকে ময়লা, অতিরিক্ত তেল এবং যেকোনো ধরনের ছোপ ছোপ দূর করতে একটি মৃদু ফেসিয়াল ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো।তাই মেকআপ করার পূর্বে আমরা ক্লিন্জিং করে নিবো। 

ধাপ-2:এক্সফোলিয়েশন/স্ক্রাবিং বা তোয়ালে দিয়ে আমাদের ফেইস মুছা দরকার:

আমাদের ত্বক ক্লিন্জিং বা পরিষ্কার করা হয়ে গেলে একটি নরম স্ক্রাব বা একটি পরিষ্কার, স্যাঁতসেঁতে তোয়ালে দিয়ে আলতো করে আমাদের ত্বককে হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে তোয়ালে টিকে ভিজিয়ে ছিপে নিবো। এরপর এটি দিয়ে আমরা এক্সফোলিয়েট বা মুখ মুছে ফেলবো।আর আমরা এই পদক্ষেপটি করার ফলে আমাদের ত্বকের মৃত  কোষগুলিকে সরাতে সাহায্য করে এবং আমাদের ত্বকের টেক্সচারকে মসৃণ করে।আর এটি করার ফলে আমাদের ত্বকে মেকআপকে সমানভাবে সুন্দর করে বসিয়ে দেয়। 

ধাপ-৩-টোনিং ব্যবহার করার নিয়ম :

টোনিং প্রায়ই আমাদের স্কিন কেয়ারে একটি আন্ডাররেটেড পদক্ষেপ  হিসেবে কাজ করে।  যেকোনো ধরনের একটি টোনার ব্যবহার করা যেতে পারে,যেমন- শসার টোনিং জল,এটি আমাদের ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের ত্বকের ছিদ্রকে শক্ত করে।এছাড়া এটি আমাদের মেকআপের পরবর্তী ধাপগুলির জন্য আমাদের ত্বককে প্রাইম করে।

ধাপ-৪:ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ত্বককে হাইড্রেশন করার নিয়ম :

আমাদের স্বাস্থ্যকর ও হাইড্রেটেড ত্বক বজায় রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজিং এর গুরুত্ব অপরিহার্য। আমাদের ত্বকে টোনিং ব্যবহার করে হালকা ত্বককে শুকিয়ে  নিয়ে এর মধ্যে আমরা নিজেদের স্কিন অনুযায়ী যেকোনো ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিবো।যেমন-ভেসলিন ময়েশ্চারাইজার আমরা ব্যবহার করতে পারি।

ধাপ-5: গোলাপ জলের স্প্রে ব্যবহার করার নিয়ম:

আমাদের ত্বককে সতেজতা এবং হাইড্রেশনের জন্য আমরা গোলাপ জলের স্প্রে ব্যবহার করতে পারি।গোলাপ জলের স্প্রে যেমন আমাদের ত্বকে সুঘ্রাণের সৃষ্টি করে ঠিক তেমনি ত্বকের লালভাব কমাতে সাহায্য করে।এছাড়া এটি আমাদের মেকআপ সেট করতেও সাহায্য করে এবং সারা দিন এটিকে উজ্জ্বল দেখাতেও সাহায্য করে। 

আর্টিকেল এর শেষ কথা :

মেকআপ করা আমাদের প্রতিটি নারীরই শখ।তাই এই মেকআপ যেনো আপনার আমার ফেইসে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি  করতে না পারে সেজন্য আজকের এই মেকআপ লুক পদ্ধতি মেনে চলুন এবং এই নিয়মে কাজ করতে থাকুন ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল পাবেন। 






 






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url