হার্ট অ্যাটাক এর ১০টি সাধারণ লক্ষণ।


হ্যালো সবাইকে সুমা হেলথ কেয়ার এ স্বাগতম!আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন ইনশাআল্লাহ আজকের এই নতুন হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে আপনারা আরও বেশি ভালো থাকবেন। আজকের এই স্পেশাল হেলথ কেয়ার এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হার্ট অ্যাটাক রোগের ১০টি লক্ষন যে বা যারা দেখতে এসেছেন তাদের সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম।

হার্ট অ্যাটাক এর ১০টি সাধারণ লক্ষণ।

শিরোনাম :হার্ট অ্যাটাক এর ১০টি সাধারণ লক্ষণ।



আমরা সবাই জানি, হার্ট অ্যাটাক জিনিসটা কতটা ভয়ানক আমাদের জন্য।যখন আমাদের সারা শরীরের রক্ত সঞ্চালন করে পাম্পের মাধ্যমে হার্ট নিজে তখন আমরা বুঝতে পারি হার্ট ও একটি পাম্প, তাকে কাজ করতে হয়, তাই তার নিজস্ব একটি রক্ত চলাচলের পদ্ধতি রয়েছে, রক্তনালি আছে।আর আমাদের এই রক্তনালিগুলো মধ্যে কোনো একটি বা একের অধিক নালি যদি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে হার্টের বেশ কিছু অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে গেলে হার্টের কাজ করার ক্ষমতাও বন্ধ হয়ে যায়।আর এটিই হলো আমাদের হার্ট অ্যাটাক।

এছাড়াও আমাদের করোনারি ধমনীতে চর্বি জমে এবং রক্ত জমাট বেঁধে (শতকরা ১০০ ভাগ) রক্তনালীর রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তখন উক্ত রক্তনালীর মাধ্যমে হার্টের যে অংশটুকু পুষ্টি এবং অক্সিজেন পেত সেই মাংসপেশিটুকুতে নানা রকম পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়ে থাকে , এটিকে ও আমরা সাধারণত হার্টঅ্যাটাক বলি।আমাদের এই হার্ট অ্যাটাককে মূলত মেডিকেল পরিভাষায় বলা হয় ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’।

হার্ট অ্যাটাক রোগের ১০টি সাধারণ লক্ষণ হলো:




১/আকস্মিকভাবে বুকে ব্যথা অনুভব হওয়া:



আমাদের শরীরে সাধারণত আকস্মিকভাবে বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে আমরা এটিকে হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ ভাবতে পারি।কারন আস্তে আস্তে সেই ব্যথা যখন আমাদের চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও হাতে ছড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের এই রকম ব্যথা দেখা দিলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবো এবং রোগটি সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করে নিতে পারেন।


২/শ্বাসকষ্ট ও দম নিতে কষ্ট অনুভূত হওয়া:



সাধারনত যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বা দম নিতে কোনও ধরনের সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ ধরে নিতে পারেন।মূলত আমাদের হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে জল জমা-সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্ট এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া আমাদের অল্পতেই দম ফুরিয়ে আসা, মুখ দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।


৩/শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া:



আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। তাই আমাদের বিশেষ কোনো রোগ যেমন - ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসার জন্য শরণাপন্ন হোন।


৪/কাশি হওয়া:



আপনার যদি নেচারালি কোনো কাশি না হয়ে দীর্ঘ দিন কাশির সমস্যা থাকে, এবং তার সঙ্গে সাদা বা কিছুটা ঘোলাটে কফ বের হয়ে আসে তবে আপনার হার্ট অ্যাটাক এর কথাটা মাথায় রাখা উচিত।তবে হ্যাঁ, কাশি সব সময় আপনার হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নাও হতে পারে। বিশেষ কিছু কারনে যেমন- কফের সঙ্গে নিয়মিত রক্ত বের হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। তাই এদিক মাথায় রেখে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।


৫/অজ্ঞান হয়ে যাওয়া:



যদি যেকোনো কাজ করার মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তা হলে ধারণা করে নিতে পারেন হার্টের সমস্যা রয়েছে।এসমস্যা সম্পর্কে সমাধান পেতে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।


৬/অল্প কিছু করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়া:



আপনি যদি কোনো কাজ করতে গিয়ে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন অথবা আপনি কিছুক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে ওঠে তবে এরকম কোনো সমস্যা হলেই হার্ট অ্যাটাক জিনিসটা নিয়ে ভাবা উচিত আপনাদের। এছাড়া আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।


৭/ মারাত্নকভাবে মাথা ব্যথা অনুভব হওয়া:



যখনই আমাদের প্রচণ্ড মাথা ব্যথা অনুভব হয়,সাধারণত আমরা মাথা ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু যখন আমাদের অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হঠাৎ মারাত্মকভাবে করে থাকে তখন হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণটি মাথায় থাকা উচিত এবং একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্যে পরীক্ষা করে নিতে পারেন।


৮/অতিরিক্ত পালস রেট হওয়া:



আমরা সাধারণত জানি, পার্লস রিট করে আমাদের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী। হঠাৎ যদি আপনি অনেক বেশি নার্ভাস থাকেন বা কোথাও থেকে দৌড়ে আসেন বা কোনো ধরনের দৌড়ের কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার পালস রেট ওঠা-নামা করতে পারে।তবে পালস ওঠা-নামা যখন কোনও কারণ ছাড়াই হয়, তবে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এটি হলে হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি মাথায় রেখে ডাক্তারের দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।



৯/ শরীরের বিশেষ কিছু অংশে অস্বস্তিবোধ হওয়া:


হঠাৎ করে যদি আপনাদের শরীরে বিশেষ কিছু জায়গায় অস্বস্তিবোধ হয়ে থাকে তবে আপনাদের হার্ট অ্যাটাক এর বিষয়টি মনে ধারণ করা উচিত। যেমন-আপনাদের অনেক সময় বাহু, পিঠে, ঘাড়ে, চোয়ালে অথবা পাকস্থলীতেও অস্বস্তি অনুভব হতে পারে। আর সেই অনুভূতি হলে আপনাদের একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


১০/ শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার জায়গা ছোট হয়ে আসা:


অনেক সময় বুকে অস্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের শ্বাস ছোট হয়ে আসতে পারে।তাই এক্ষেত্রে আপনাদের হার্ট অ্যাটাক এর বিশেষ লক্ষণ মাথায় রেখে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।




হার্ট অ্যাটাক রোগের ১০ টি সাধারণ লক্ষণের শেষ কথা :


উপরিউক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনারা ইনশাআল্লাহ হার্ট অ্যাটাক রোগের সাধারণ লক্ষণগুলো জেনে নিতে পারেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url