নিরব ঘাতক কিডনি রোগের ১৫টি লক্ষন জেনে নিন।
হ্যালো সবাইকে সুমা হেলথ কেয়ার এ স্বাগতম!আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন ইনশাআল্লাহ আজকের এই নতুন কিডনি সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে আপনারা আরও বেশি ভালো থাকবেন। আজকের এই স্পেশাল হেলথ কেয়ার এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিরব ঘাতক কিডনি রোগের ১৫টি লক্ষন যে বা যারা দেখতে এসেছেন তাদের সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম।
![]() |
নিরব ঘাতক কিডনি রোগের ১৫টি লক্ষন |
শিরোনাম :নিরব ঘাতক কিডনি রোগের ১৫টি লক্ষন।
আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গেরই সমানভাবে গুরুত্ব রয়েছে।আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এসব অঙ্গ স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে কিনা তা আমরা ৮০% মানুষই জানার চেষ্টা করি না বা জানি না।আজ আমি আপনাদের সাথে তেমনই একটা বিশেষ 'নি:শব্দ নিরব ঘাতক 'কিডনি রোগের ১৫ টি লক্ষন সম্পর্কে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। কিছু কিডনি রোগের লক্ষন জানা থাকলে ইনশাআল্লাহ আপনারা প্রাথমিকভাবে সর্তক হতে পারবেন।
কিডনি রোগের ১৫টি লক্ষন হলো-
1.প্রস্রাবের ধরন পরিবর্তন হয়ে যাওয়া :
আমাদের প্রস্রাবের সময় ইউরিনের কালারে পরিবর্তন হয়ে আসে।কিডনি রোগের সমসাময়িক ক্ষেএে আমাদের হঠাৎ করে প্রস্রাবের বেগ বেড়ে বা কমে যেতে পারে। অথবা আমাদের ইউরিনের কালার গাঢ় হলুদ হয়ে যেতে পারে। এমনকি আমাদের প্রস্রাবে ফেনা উঠতে দেখা যেতে পারে।
2.প্রস্রাবে ইনফেকশন দেখা দেওয়া:
আমাদের মূএনালীতে অর্থাৎ প্রস্রাব করার স্থানে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। আর এই ইনফেকশন এক ধরনের মারাত্মক ব্যথার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এভাবে আমাদের কিডনি রোগের ক্ষেএে এ ধরনের প্রস্রাব ইনফেকশন সৃষ্টির মাধ্যমে হতে পারে।
3.প্রস্রাবের সাথে রক্তক্ষরণ দেখা দেওয়া:
আমাদের মূএনালীর সমস্যা একসময় বিপর্যস্ত পর্যায়ে চলে গেলে তখন আমাদের প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তের ক্ষরন দেখা দিতে পারে। যেই রক্তক্ষরণ আমাদের প্রস্রাবের স্থানে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
4.দেহ ফোলে যাওয়া:
আমাদের দেহে যখন বুঝবো ইউরিন অপরিশোধিত বর্জ্য পদার্থ গুলো দেহ থেকে বের করে না দিয়ে বরং আমাদের দেহ ফোলে গেছে মারাত্মকভাবে অর্থাৎ লাল লাল ভাবে দেহে পানি জমে যেতে দেখা যেতে পারে সেই উপর্সগুলো থেকে আমাদের কিডনি রোগের সমস্যা হতে পারে।
5.ত্বকে চুলকানি বা রেশ দেখা দেওয়া:
আমাদের দেহে যখন অপ্রয়োজনীয় বর্জ্যপদার্থ পরিশোধিত না হয়ে দেহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রেশ হয়ে দেহের মধ্যে আচানকভাবে চুলকানি দেখা দিতে পারে যখন কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়বে।
6.বমি বমি অবস্থা সৃষ্টি হওয়া:
আমাদের সাধারণত কয়েক ধরনের রোগের ক্ষেএে বমি বমি ভাব সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। তবে কিডনি রোগের ক্ষেএে এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। রক্তে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ গুলো বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বমি বমি অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
7. শরীরে ক্লান্তিভাব চলে আসা:
আমাদের শরীরের মধ্যে যখন কোনো ধরনের কারন ছাড়াই সবসময় ক্লান্তি, দুর্বল অনুভব,ওজন দ্রুত কমে যাওয়া কিডনি রোগের সমস্যার কারনে দেখা দিতে পারে। এসবকিছু মূলত আমাদের শরীরের ভেতরকার অপরিশোধিত বর্জ্যের কারনে ক্লান্তি নিয়ে আসতে পারে।
8.শরীরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া :
আমাদের শরীরে যখন কিডনির সমস্যা দেখা দেয় তখন আমাদের ফুসফুসের মধ্যে তরল পদার্থ জমে ফুসফুসের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এধরণের সমস্যা হওয়াকে ফ্লুইড ওভারলোড বা হাইপারভোলেমিয়াও বলা হয়।অনেক সময় বুকে ব্যথাও দেখা দিতে পারে।
9. অনিদ্রা দেখা দেওয়া :
আমাদের শরীরে যখন অপ্রয়োজনীয় পানি পরিশোধিত না হয়ে ফুসফুসে জমে যায় তখন আমাদের ঘুমের পরিমান কমে যেতে পারে, এমনকি সম্পূর্ণভাবে ঘুম নাও হতে পারে।
10. খাবারে অরুচি দেখা দেওয়া :
আমাদের কিডনির সমস্যা হলে মূলত খাবারের অরুচি দেখা দিতে পারে, কারন তখন আমাদের শরীলের মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা কাজ করে।
11.চোখের নিচের অংশ ফোলে যাওয়া:
আমাদের চোখের নিচের অংশে যখন অনেকদিন পর্যন্ত অস্বাভাবিকভাবে ফোলে যেতে পারে, চোখের নিচে এধরনের অবস্থা সৃষ্টি সাধারণত ঘুম থেকে উঠার পর ফোলে যাওয়া এবং চোখের নিচে ভারি ভারি মনে হওয়া কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
12.কোমরে ব্যথা সৃষ্টি হওয়া:
আমাদের শরীরে যখন অস্বাভাবিক কিছু ব্যথা যেমন -কোমরের দুই সাইডে ব্যথা এবং তলপেটে ব্যথা অকারনে হয়ে থাকে তখন কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
13.উচ্চরক্তচাপ দেখা দেওয়া :
আমাদের মধ্যে হঠাৎ যদি উচ্চরক্তচাপ বেড়ে গিয়ে মুখমন্ডল ফুলে যেতে পারে এবং আমাদের শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন দেখা দিতে পারে তখন আমাদের কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
14.মাংসপেশিতে টান অনুভূত হওয়া:
আমাদের দেহের মধ্যে ইলেকট্রোলাইট,ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা দেখা দিতে পারে যখন আপনার কিডনিজনিত সমস্যা হতে পারে।মাংসপেশিতে খিচুনি ও টান লাগতে পারে কিডনির সমস্যার কারনে।
15.কোনো কিছু মনোযোগে সমস্যা হওয়া:
আমাদের শরীরে যখন লোহিত রক্তকনিকা কমে গিয়ে অক্সিজেনের পরিবহন কমে যায় তখন আমাদের মনোযোগ দিতে সমস্যা হতে পারে, ফলে কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে।
নিরব ঘাতক কিডনি রোগের ১৫টি লক্ষন এর শেষ কথা :
উপরিউক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনারা অতি সহজে কিডনি রোগের লক্ষণের প্রাথমিক ধারনাগুলো মনে ধারন করে নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url