গ্যাস্টিকের ১০টি লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন

 হ্যালো সবাইকে সুমা হেলথ কেয়ার এ স্বাগতম!আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন ইনশাআল্লাহ আজকের এই নতুন  গ্যাস্টিকের ১০টি লক্ষণ সম্পর্কিত তথ্য জেনে আপনারা আরও বেশি ভালো থাকবেন। আজকের এই স্পেশাল হেলথ কেয়ার এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গ্যাস্টিকের ১০টি লক্ষণ সম্পর্কে জানতে  যে বা যারা দেখতে এসেছেন তাদের সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম।

গ্যাস্টিকের ১০টি লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন

শিরোনাম :গ্যাস্টিকের ১০টি লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন। 

আমাদের সমাজে এখন খুব কমন জিনিস হয়ে গেছে গ্যাস্ট্রিকের।আর এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে আমরা অনেকেই এর সঠিক লক্ষণ সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারি না।তাই আজ আমি আপনাদের সাথে এমনই ১০টি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ সম্পর্কে শেয়ার করবো। 


গ্যাস্টিকের ১০টি লক্ষণ হলো-

1.বমি বমি ভাব বা বারবার পেট খারাপ হওয়া:

আপনাদের বেশিক্ষণ পেট খালি থাকলেই যকৃৎ থেকে যে বিনি নির্গত হয় তা গলব্লাডারে জমা হয়।ফলে এটি আপনার তরল হজমে বাধা দেয়। তাই আপনার বারবার বমি, পিত্তবমির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও খাবারের সংক্রমণ থেকে প্রায়শই পেটে ইনফেকশনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যাসিড বেশিমাত্রায় ক্ষরণ হয় বলে গলা জ্বালা, পেট ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে। 

2.পেট ফুলে যাওয়া:

আপনি বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়া, বেশি পরিমাণ নুন খাওয়া প্রভৃতি কারণে পেটে মেদ জমতে পারে। এমনকি আপনার পেট ফুলে যেতে পারে।যার ফলে আপনাকে দেখতে যেরকম খারাপ লাগবে তেমনি আপনার চলাফেরা করতেও সমস্যা হতে পারে এই গ্যাস্ট্রিকের কারণে। 

3.পেটে ব্যথা হওয়া:

মাঝে মাঝে আপনার পেটে ব্যথা হলে তা অবহেলা করবেন না।এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আজকাল আমাদের মাঝে নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই সমস্যাটি হওয়ার অনেক কারণ আছে,যেমন- নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত ঝাল মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ ও মদ্যপানের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া বাইরের খাবার খাওয়া ও অতিমাত্রায় ফাস্টফুডে আসক্তির কারণে গ্যাস্টিক সমস্যা বাড়তে পারে। 

4.বদহজম হওয়া:

আপনারা ধরেন হঠাৎ কোনো একট খাবার খাওয়ার কারনে আপনার বারবার বদহজম হচ্ছে, এটি কোনোমতেই স্যালাইন বা অন্য কোনো ঔষধ দিয়ে কমছে না, তাহলে আপনারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন, কারণ এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণে হতে পারে। 

5.অভ্যন্তরীন ব্লিডিং হওয়া:

যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাহলে প্রথমেই সতর্ক হয়ে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারনে আপনার রক্ত বমি, রক্ত আমাশা,  পায়খানার সাথে রক্ত আসা এই লক্ষণগুলো হতে পারে। 

6.আলসার হওয়া:

আমাদের পাকস্থলীর আস্তরণকে পেটের ভেতরে তৈরি হওয়া এসিডের সংস্পর্শ থেকে রক্ষা করার জন্য এদের মাঝে একটি প্রলেপ থাকে। প্রলেপটি মূলত আমাদের মিউকাস নামের শ্লেষ্মার মতো পদার্থ দিয়ে তৈরি একটি স্তর। কোনো কারণে আমাদের এই স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এসিড সরাসরি পাকস্থলীর আস্তরণের সংস্পর্শে এসে একে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এভাবে পেটের আলসার তৈরি হয়।আর এটিকে আমরা গ্যাস্ট্রিক হিসেবে ধরে সাধারণত ডাক্তারের সংস্পর্শে আসতে পারি।

7.পেটে জ্বালাপোড়া করা:

আপনি ঘুমাতে গেলে বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে,খাওয়ার আগে বা পরে যদি আপনার ঘন ঘন পেট জ্বালাপোড়া করে তাহলে বুঝে নিতে পারেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়েছে। তার জন্য আপনি এটি বুঝতে পারার সাথে সাথেই একজন বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। 

8.অতিরিক্ত হেঁচকি আসা:

আপনাদের অতিরিক্ত হেঁচকি আসাও এক ধরনের গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ হতে পারে, তাই আপনার এরকম কোনো সমস্যা হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করুন।

9.ক্ষুধামান্দ্য হওয়া:

আপনার বেশি ক্ষুধামান্দ্য লাগা,যেমন -আপনি খেতে বসার আগেই আপনার খাবার খেতে ইচ্ছে না করা বা খাবারে বসার পরে অন্যদিকে মনোযোগ সরে যাওয়া,খাবারের প্রতি আকৃষ্ট না হওয়া এসবকিছু আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারনে হতে পারে। 

10.বমি রক্ত ​​বা কফ মাটির মত উপাদান আসা :

আপনার বমির সাথে রক্ত আসা, কাশির সাথে মাটির কালারের মতো কফ আসা এই লক্ষণগুলো হলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। তাই একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে আপনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। 

গ্যাস্টিকের ১০টি লক্ষণের শেষ কথা :

উপরিউক্ত লক্ষণগুলো হলে আপনার মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই এই লক্ষণগুলো আপনার মাঝে দেখা দিলে আপনি একজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে এই লক্ষণগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এতে আপনারা ইনশাআল্লাহ সঠিক পরামর্শ  পেতে পারেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url