ত্বকের সৌন্দর্যে শীতকালে মসুর ডাল ব্যবহারের ১০টি নিয়ম
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে সুমা হেলথ কেয়ারে স্বাগতম।আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।ইনশাআল্লাহ আজকে আমি আপনাদের সাথে শীতকালীন একটি স্কিন কেয়ার রেমিডি শেয়ার করবো যেটি আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে দিয়ে সুন্দর ও মসৃণ ত্বক প্রদান করতে সাহায্য করে।
শিরোনাম:শীতকালে রুক্ষ ত্বকের যত্নে মসুর ডালের ১০টি ব্যবহারের নিয়ম।
সুন্দর, মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে আমরা সবাই চাই।আর এই মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে আমরা অনেকেই অনেক ভেজাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করি।তবে আমরা এটা জানি না যে, বাসায় বসে শীতকালে খুবই সহজ ও সাশ্রয়ী উপায়ে কীভাবে আমরা আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে পারি।শীতকালীন এই সময়ে আমাদের ত্বক বেশিরভাগ সময় শুষ্ক থাকে যার ফলে ত্বকে মরা কোষের জন্ম নেয়।তাই এসময় ত্বকের সমাধানের জন্য আমরা মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারি।কারণ মসুর ডালে রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (Anti-Oxidant), কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates), ডায়াটারি ফাইবার (Dietary Fiber),ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড (Omega 3 Fatty Acid), ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং থায়ামিন (Thiamine)।আর এই উপাদানগুলো আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টিকর রাখতে সাহায্য করে।
শীতকালে রুক্ষ ত্বকের যত্নে মসুর ডালের ১০টি নিয়মে ব্যবহারের উপাদান:
- মসুর ডাল বাটা,
- মসুর ডালের গুঁড়া,
- আমন্ড ওয়েল,
- নারিকেল ওয়েল,
- এলোভেরা জেল,
- হলুদের গুঁড়া,
- চালের গুঁড়া,
- দুধ,
- কফি,
- লেবুর খোসা,
- টমেটোর রস,
- শসার রস,
- আলুর রস,
- কমলার শুকনা খোসার গুঁড়া,
- রোজ ওয়াটার ও
- বেসন।
শীতকালে রুক্ষ ত্বকের যত্নে মসুর ডাল ব্যবহারের ১০টি নিয়ম:
- প্রথম নিয়মে আমরা ফেইসের পরিমান অনুযায়ী মসুর ডাল বাটা এবং হাফ চামচ আমন্ড ওয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আমরা আমাদের ত্বকে লাগিয়ে নিবো।ত্বকে প্যাকটি ১০-১৫ মিনিট রাখার পর আমরা হালকা কুসুম গরম পানি হাতে লাগিয়ে নিয়ে আমাদের ফেইসে হালকাভাবে ঘষিয়ে তুলে নিবো।তারপর পুরো ফেইসে পানি দিয়ে ধুয়ে নিবো।পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়ার পর ফেইস টিসু দিয়ে মুছে যেকোনো ধরনের ময়েশ্চারাইজার ত্বকে লাগিয়ে নিবো।
- দ্বিতীয় নিয়মে আমরা মসুর ডাল গুঁড়া ও কমলার শুকনা খোসার গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকের পরিমান অনুযায়ী রোজ ওয়াটার এর সাথে এড করে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আমরা প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে নিবো।তারপর প্রথম নিয়মের মতো ১০-১৫ মিনিট রেখে ও ধুয়ে নিয়ে আমাদের ত্বকে যেকোনো ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিবো।
- তৃতীয় নিয়মে আমরা মসুর ডাল ও বেসন একসাথে মিশিয়ে নিয়ে এর মধ্যে হালক পানি এড করে নিবো। তারপর এটি ফেইসে ইউজ করে ১০-২০ মিনিট রেখে ত্বক পরিষ্কার করে ধুয়ে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবো।
- চতুর্থ নিয়মে মসুর ডালের সাথে গাছের ফ্রেশ এলোভেরা জেল বের করে নিয়ে তাতে এড করে প্যাকটি ফেইসে ইউজ করে নিবো।এরপর পূর্বের নিয়মের মতো স্কিন ধুয়ে নিবো।
- পন্ঞ্চম নিয়মে মসুর ডালের সাথে সঠিক পরিমাণে হলুদ গুড়ো মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিবো।লাগানোর পর ত্বক পূর্বের নিয়মে আমরা ধুয়ে নিবো।
- ষষ্ঠ নিয়মে আমরা মসুর ডালের সাথে কাঁচা দুধ এড করে নিবো এবং ত্বকে প্যাকটি ব্যবহার করবো।আর এই প্যাকটি লাগানোর পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো আমরা পূর্বের নিয়মে করে নিবো।
- সপ্তম নিয়মে আমরা মসুর ডালের সাথে লেবুর খোসাকে বেটে নিয়ে এর মধ্যে হালকা টমেটোর রস এড করে নিবো এবং ত্বকে লাগিয়ে নিবো।তারপর ত্বকে প্যাকটি লাগিয়ে ত্বক ধুয়ে নিবো পূর্বের নিয়মে।
- অষ্টম নিয়মে আমরা মসুর ডালের সাথে আলুর খোসার রস মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে নিবো। এরপর পূর্বের নিয়মে আমরা আমাদের ত্বককে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবো।
- নবম নিয়মে আমরা মসুর ডালের সাথে শশার রস মিশিয়ে নিয়ে আমরা আমাদের ত্বকে লাগিয়ে নিবো। লাগানোর পর আমাদের ত্বক পূর্বের নিয়মে ধুয়ে নিবো।
- দশম নিয়মে আমরা মসুর ডালের সাথে হাফ চামচ নারিকেল তেল ও ১চামচ বেসন একসাথে মিশিয়ে নিবো ও আমরা আমাদের ত্বকে লাগিয়ে ১০-২০মিনিট রেখে ধুয়ে নিবো।
শীতকালে রুক্ষ ত্বকের যত্নে মসুর ডাল ব্যবহারের ১০টি নিয়মের শেষ কথা:
শীতকালে আমরা আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে মসুর ডালের এই ফেইস প্যাকগুলো ব্যবহার করতে পারি।আর এই প্যাকগুলো আমাদের ত্বকের মৃত কোষকে সরানো থেকে ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলে।তাই আমরা আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে এখানকার যেকোনো একটি ফেইস প্যাক ব্যবহার করতে পারি।এই ফেইস প্যাক ব্যবহারের পর আমরা সবাই ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল পেতে পারি।
শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url