ঘরে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম তৈরির নিয়ম এবং এর ব্যবহার।

হ্যালো,সবাইকে ওয়েলকাম করছি সুমা হেলথ কেয়ারের ওয়েবসাইট থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং ভালো কিছু জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য একদম নতুন একটি ময়েশ্চারাইজার ক্রিম তৈরির সহজ নিয়ম শেয়ার করবো,যেটি ইনশাআল্লাহ আপনারা ঘরে বসে সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন।



শিরোনাম: ঘরে বসে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম তৈরির নিয়ম এবং এর ব্যবহার শিখে নিন।

ময়েশ্চারাইজার হল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেটি আমাদের মেকআপ করার আগে বা কোনো ধরনের মাস্ক ব্যবহার করলে এটি ব্যবহার করতে হয়,যা আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড এবং কোমল রাখতে সাহায্য করে।আমরাজানি, অনেক বাণিজ্যিক ময়শ্চারাইজারে কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকে, যা আমাদের সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।তাই আমরা কীভাবে বাড়িতে মাত্র চারটি সহজ উপাদান দিয়ে আমাদের নিজের মতো করে একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ক্রিম তৈরি করতে হয় সেটি বলবো।

উপকরণ:

  • অ্যালোভেরা জেল (2 চামচ)
  • রোজ এসেনশিয়াল অয়েল (2-3 ফোঁটা)
  • গ্লিসারিন (1 টেবিল চামচ)
  • গোলাপ জল (2 চামচ)

ধাপ 1: আপনাকে প্রথমে প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করতে হবে :

ময়েশ্চারাইজার ক্রিমটি তৈরি  করার আগে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে,আমাদের হাতে সমস্ত উপাদান রয়েছে ক্রিমটি তৈরির জন্য।আমরা গ্রোসারি দোকানে বা অনলাইনে এই আইটেম খুঁজে পেতে পারি। 

ধাপ ২: অ্যালোভেরা জেল তৈরি করা:

অ্যালোভেরা জেল হল আমাদের ময়েশ্চারাইজারের একটি ভিত্তি,যা প্রশান্তিদায়ক এবং হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত।তাই আমরা একটি পাতা থেকে তাজা অ্যালোভেরা জেল বের করে নিবো বা দোকান থেকে কেনা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করবো।তারপর 2চামচ অ্যালোভেরা জেল নিবো এবং এটি একটি পরিষ্কার,শুকনো বাটিতে রাখবো

ধাপ ৩: রোজ এসেনশিয়াল অয়েল এড করা:

রোজ এসেনশিয়াল অয়েল শুধুমাত্র আমাদের ত্বকে একটি আনন্দদায়ক সুগন্ধই যোগ করে না বরং এটি অ্যান্টি-অকসিডেটিং এবং ত্বক-পুষ্টিকর উপকারিতাও প্রদান করে।তাই আমরা অ্যালোভেরা জেলে 2-3 ফোঁটা রোজ এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করে নেবো।এছাড়া এটি অতিরিক্ত পরিমাণে মেশানো উচিত নয়, কারণ এটি বেশি হলে তেল তেল ভাব বেশি দেখাবে আমাদের ত্বকে।

ধাপ৪:গ্লিসারিন যোগ করা:

গ্লিসারিন একটি চমৎকার হিউমেক্ট্যান্ট,যেটি আমাদের ত্বকে আর্দ্রতাকে আকর্ষণ করে এবং আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যকে ধরে  রাখে।ধাপ-৩ এর মিশ্রণে 1 টেবিল চামচ গ্লিসারিন যোগ করে নেবো।এরপর সমস্ত উপাদানগুলি ভালভাবে মিশিয়ে আলতো করে আমরা নেড়ে নিবো।

ধাপ৫: গোলাপ জল মেশানো:

গোলাপ জল আমাদের ত্বকের pH ভারসাম্য এবং লালভাব কমানোর ক্ষমতার জন্য কাজ করে।তাই আমরা এখন ধাপ-৪ এর মিশ্রণটিতে 2 চামচ গোলাপ জল যোগ করে নেবো এবং সমস্ত উপাদান ভালোভাবে মিশে যাওয়া পর্যন্ত ভালভাবে নাড়তে থাকবো।

ধাপ6:ময়েশ্চারাইজার কাচের জারে সংরক্ষণ:

আমরা যেকোনো একটি পরিষ্কার, বায়ুরোধী কাচের পাত্রে ময়েশ্চারাইজার টি সংরক্ষণ করে রাখবো।এটি একটি শীতল, শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করবো এবং সরাসরি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখবো।এতে করে ময়েশ্চারাইজার ক্রিমটি অনেকদিন ভালো থাকবে

কিভাবে আমাদের ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবো:

পরিষ্কার, শুষ্ক ত্বকে অল্প পরিমাণে আমরা DIY ময়েশ্চারাইজার ক্রিমটি ব্যবহার করবো।এছাড়াও এটি আমাদের মুখ এবং ঘাড়ে আলতো করে ম্যাসাজ করবো।আমাদের প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের জন্য এই ময়েশ্চারাইজার ক্রিমটি ব্যবহার করবো,বিশেষ করে সকাল এবং সন্ধ্যায়।

আর্টিকেল এর শেষ কথা:

আমাদের নিজের ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার একটি সহজ এবং ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া।মাত্র চারটি প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে,আমরা আমাদের ত্বককে প্যাম্পার করতে পারি এবং এর অসংখ্য উপকারিতা উপভোগ করতে পারি।সুতরাং,এটি একবার আমরা চেষ্টা করে দেখবো এবং এই DIYময়েশ্চারাইজার এর সৌন্দর্যের গোপনীয়তার বিস্ময়গুলি অনুভব করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url