সর্দি-কাশির ১১টি ঘরোয়া চিকিৎসার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

 হ্যালো সবাইকে সুমা হেলথ কেয়ার এ স্বাগতম!আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন।ইনশাআল্লাহ আজকে হেলথ কেয়ার এর একটি নতুন রেমিডি শেয়ার করতে যাচ্ছি,সেগুলো হলো-সর্দি-কাশির ১১টি ঘরোয়া চিকিৎসার উপায়।আজকে হেলথ কেয়ার এর এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সর্দি-কাশির ১১টি ঘরোয়া চিকিৎসার উপায় সম্পর্কে জানতে যে বা যারা দেখতে এসেছেন তাদের সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম।

সর্দি-কাশির ১১টি ঘরোয়া চিকিৎসার উপায়


শিরোনাম:সর্দি-কাশির ১১টি ঘরোয়া চিকিৎসার উপায়।

শীতকালে সাধারনত আমাদের ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রায় বড়দেরও সর্দি-কাশি লেগে থাকতে দেখা যায়।কারণ শীতকালে কুয়াশার আচ্ছনে আমাদের পুরো শরীরকে আবৃত করার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়।আর সে সময়ে আমাদের সর্দি -কাশি হতে পারে না তা তো ধরা ছোয়ার বাহিরের বিষয়। 

সর্দি-কাশির ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসার উপায় হলো-


  • সর্দিকাশিতে আমরা দুধ ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ার নিয়ম :

দুধ আমাদের সব বয়সের জন্যই সমান উপকারী। তাই সর্দি কাশিতে আমরা এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারি। আমরা জানি, হলুদে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে,যা সহজেই আমাদের সংক্রমণ রোধ করে।ফলে আমরা সর্দি-কাশির এই কষ্ট থেকেও রেহাই পেতে পারি।

  • সর্দিকাশিতে আমাদের আদা দিয়ে চা খাওয়ার নিয়ম :

 আমাদের সর্দি-কাশি দূর করতে আদা দিয়ে চা খাওয়ার জুড়ি মেলা ভার।এজন্য আমরা আদা কুচি করে গরম পানি বা গরম চায়ে দিয়ে পান করবো। এতে আমাদের সর্দি-কাশির সমস্যা দূর হতে পারে।

  •  সর্দিকাশিতে আমরা লেবু ও মধু একসাথে  মিশিয়ে খাওয়ার নিয়ম: 

লেবু ও মধুর মিশ্রণটিও আদা চায়ের মতোই আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।আমরা প্রথমে এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করবো তাতে আমাদের সর্দি-কাশি দূর হতে পারে। 

  • সর্দিকাশিতে আমরা তুলসী পাতা ও আদা মিশিয়ে খাওয়ার নিয়ম :

আমরা প্রথমে এক কাপ পানিতে কয়েকটা তুলসী পাতা ও আদা কুচি করে একসাথে ফুটিয়ে নিবো। তারপর সেই পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে এলে তা নামিয়ে নিবো।এবার এই পানি দিনে অন্তত দু’বার পান করলে আমাদের সর্দি-কাশি কমে যেতে পারে।

  •  সর্দিকাশিতে আমাদের রসুন খাওয়ার নিয়ম :

আমরা জানি,রসুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে,যা আমাদের সর্দি-কাশির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এছাড়া এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান রয়েছে,যা আমাদের সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।এছাড়াও আমরা চার-পাঁচ কোয়া রসুন ঘি তে ভেজে নেড়ে নিয়ে গরম করে খেয়ে নিবো।  

  • সর্দিকাশিতে আমরা  ট্রি-অয়েল খেতে পারি:

সর্দি-কাশি হলে আমরা গরম পানিতে ট্রি অয়েল মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার ভাপ নিবো।তাতে আমরা সর্দি-কাশিতে কিছুটা শান্তি পেতে পারি। 

  • সর্দি-কাশিতে আমরা  মাউথওয়াশ করতে পারি:

সর্দি-কাশিতে আমরা লবণ-গরম পানি দিয়ে মাউথওয়াশ করলে সর্দি কাশির থেকে আমরা কিছুটা আরাম পেতে পারি। 

  • সর্দি -কাশিতে আমরা  মসলা চা খেতে পারি:

সর্দি-কাশিতে আমরা  মসলা চা তৈরির জন্য কিছু  উপাদান রান্নাঘরে সহজেই পেতে পারি।যেমন—আদা, দারচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, এলাচি, তুলসী পাতা মধু সহযোগে পরিমাণমতো পানিতে ৩০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিবো।আর এই ফুটানো পানিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে দ্বিগুণ করে তুলতে সাহায্য করে। 

  •  সর্দিকাশিতে আমরা গ্রিন স্যুপ খেতে পারি :

আমরা জানি,গ্রিন স্যুপে ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ফলিক এসিড ও অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ রয়েছে।এই গ্রিন স্যুপের মিশ্রণ বানাতে আমাদের প্রয়োজন পড়বে কিছু পালংশাক, আম, আনারস, লেবুর রস, তাজা তাজা আদা এবং দই দিয়ে মিশ্রণটি তৈরি করে নেবো।এরপর ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করবো।এতে আমরা সর্দি কাশি থেকে কিছুটা আরাম পেতে পারি।

  • সর্দি কাশিতে আমরা হানি লেমন চা তৈরি করে খেতে পারি : 

এই মিশ্রণ তৈরি করতে আমরা চার কাপ পানিতে আদা, এক ইঞ্চি সমান দারচিনি, তিনটি রসুনের কোয়া, এক চা চামচ পুদিনার রস এবং লেবুর রস দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিবো।এরপর একটু মধু দিয়ে গরম অবস্থায় এটি পান করে নিবো। এই পানীয় আমাদের গলা ব্যথা ও কাশির কষ্টে উপশম দিতে সাহায্য করে।

  • তুলসী, লবঙ্গ, দারচিনি, আদা,হলুদ ও কালো মরিচ একসাথে মিশিয়ে কাড়া বানিয়ে খেতে পারি :

আমরা একটি পাত্রে তুলসী, লবঙ্গ, দারচিনি, আদা, হলুদ ও কালো মরিচ দিয়ে পানির মধ্যে সিদ্ধ করে নিবো।তারপর এতে পরিমাণমতো মধু বা গুড় মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারি।এটি আমাদের সর্দি-কাশির জন্য অত্যন্ত উপকারী।


সর্দি-কাশির ১১টি ঘরোয়া চিকিৎসার উপায়ের শেষ কথা হলো:

উপরিউক্ত ধাপগুলি সম্পর্কে জেনে আপনারা আপনাদের সর্দিকাশি হলে সাময়িক সমস্যায় ঘরোয়া উপায়গুলো কাজে লাগাতে পারেন।এতে আপনারা কিছুটা সমাধান পেতে পারেন ইনশাআল্লাহ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url