চুল দ্রুত গজানোর সেরা ২টি উপায়।
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে সুমা হেলথ কেয়ার এ স্বাগতম। আপনারা সবাই নিশ্চই ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের জন্য চুল গজানোর নতুন থেকে নতুনত্বর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেমিডি নিয়ে হাজির হয়েছি।আর এই দুইটি রেমিডি আপনাদের চুল পড়া কমানো থেকে শুরু করে নতুন চুল গজাতে শুরু করবে ইনশাআল্লাহ।
শিরোনাম :চুল দ্রুত গজানোর সেরা ২টি উপায়।
লম্বা ঘন চুল কে না ভালোবাসে।আমরা প্রত্যেক নারীরাই চায় একটি ঘন লম্বা কেশ।আর এই চুল আমাদের মাথা থেকে পড়লেও সমস্যা নেই যদিনা সেই চুল আবার নতুন করে গজিয়ে উঠে।
- আমাদের কুড়ি চুল গজানোর প্রথম উপায়ের উপাদান :
- ১চামচ বাদাম তেল,
- হাফ চামচ ক্যাস্টর তেল ও
- প্রায় আধা চামচ পেঁয়াজ রস
আমাদের কুড়ি চুল গজানোর প্রথম উপায়ে ব্যবহার করার নিয়ম :
প্রথমে আমরা ১টি বাটিতে ১চামচ বাদাম তেল নিবো। তারপর সেখানে হাফ চামচ ক্যাস্টর তেল যোগ করে নেবো।এরপর প্রায় আধা চামচ পেঁয়াজ রস যোগ করে নিয়ে এই মিশ্রনটিকে ভালোভাবে আমরা নাড়তে থাকবো।তারপর তেলটা হালকা ঘন হয়ে আসলে আমরা সিঁথি কেটে চুলে ব্যবহার করবো হাত দিয়ে।আর তেলটি চুলে লাগানোর পর মিনিমাম ৩০মিনিট আমরা রাখতে পারি অথবা মেক্সিমাম ৩-৪ ঘন্টা রাখতে পারি নতুন চুল গজানোর এই মিশ্রনটি।এরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করে আমরা আমাদের চুলকে ধুয়ে নিতে পারি।
নতুন চুল গজানোর প্রথম উপায়টির উপকারিতা :
- বাদাম আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
- বাদামের তেল আমাদের চুলকে নরম ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
- বাদামের তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৭ বা বায়োটিন রয়েছে যা আমাদের চুলকে মজবুত ও শক্তিশালী করে তুলে।
- ক্যাস্টর অয়েল এটি আমাদের মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।এছাড়া এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য খুশকি কমাতে সাহায্য করে।
- পেয়াজে থাকা সালফার উপাদান আমাদের চুলকে মজবুত, ঘন এবং সাইনি চুল গজাতে সাহায্য করে।
2.দ্বিতীয় উপায়ে চুল গজানোর বেস্ট উপায়ের বর্ণনা :
প্রথমে আমরা ১বাটি চাউলের জন্য পাঁচ বাটি পানি নেবো।কারণ এক বাটি চাল সিদ্ধ করার জন্য আমাদের পাঁচ বাটি জল প্রয়োজন।তারপর আমরা সেই চাল চুলায় বসিয়ে দেবো এবং চালগুলো পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়ার পর ভাতের পানি ছেঁকে নিবো। এরপর সেই ভাতের পানি আমাদের চুলে লাগিয়ে নিবো।স্বাস্থ্যকর এই ভাতের জল আমাদের চুলে সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করে চুল সঠিকভাবে ধুয়ে ফেলবো।আর চুল ধুয়ে ফেলার পরে একটি শাওয়ার ক্যাপ পড়বো।পড়ার পর আমরা সর্বনিম্ন 30 মিনিট এবং সর্বাধিক 1.5 ঘন্টা রেখে দিতে পারি।এরপর আমরা আমাদের চুলকে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবো।এছাড়াও চুলে তেল দেওয়ার পরও ভাতের পানি আমরা লাগাতে পারি অথবা সপ্তাহে একবার তেলের পরিবর্তে চালের পানি লাগাতে পারি।
ফলাফল :
সর্বনিম্ন আমরা তিন মাস এবং সর্বোচ্চ ছয় মাস এই রুটিনটি অনুসরণ করবো।তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের চুলের একটি বিশাল বড় সমাধান পেয়ে যাবো এই হেয়ার কেয়ার রুটিনটির মাধ্যমে।
আর্টিকেল এর শেষ কথা :
বিনা দ্বিধায় আপনারা আমার এই হেয়ার কেয়ার রুটিনের চুল গজানোর এই ২টি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যদি এই পদ্ধতিটির কোনো কিছু বুঝতে আপনাদের সমস্যা হয় তাহলে আমাকে নিশ্চয়ই কমেন্ট করে জানাবেন, ইনশাআল্লাহ দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।
শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url