সকালে ওটস খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে সুমা হেলথ কেয়ারে স্বাগতম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি হেলথ কেয়ার রেমিডি নিয়ে কথা বলবো যেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
শিরোনাম:ওটস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।
আমাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় চর্বি ছাড়া ও ফ্যাটহীন খাবারের গুরুত্ব অনেক।কেননা এগুলো আমাদের শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।এছাড়া তেল ছাড়া খাবার আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে রক্ষা করতে সাহায্য করে।শরীরের ওজন কমিয়ে আনে,শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে ইত্যাদি।
ওটস খাওয়ার নিয়মের উপাদান:
- ওটস ১কাপ,
- দুধ হাফ কাপ,
- খেজুর ৪-৫টা,
- চিনি ৬-৭চামচ,
- লবণ হাফ চামচ,
- কালো আঙ্গুর,
- ডালিম ফলের দানা,
- কলা।
ওটস খাওয়ার নিয়ম:
প্রথমে একটি পাএে ওটস ১কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে সারারাতের জন্য রেখে দিবো।তারপর এই ভেজানো ওটসের সাথে দুধ হাফ কাপ,খেজুর ৪-৫টা,চিনি ৬-৭চামচ,লবণ হাফ চামচ, কালো আঙ্গুর,ডালিম ফলের দানা ও কলা এই সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিয়ে আমরা ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিবো।ব্লেন্ড করার পর আমরা খালিপেটে ১কুলি পানি খেয়ে এই ওটসটি খেয়ে নিবো।এভাবেই আমরা প্রতিদিন সকালে অথবা রাতে এই ওটস টি খেয়ে নিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ওটস খাওয়ার নিয়মের উপকারিতা:
- ফাইবারের ক্ষেএে ওটসের গুরুত্ব রয়েছে।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- ওটস মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
- ওজন কমিয়ে আনে।
- শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ওটসের গুরুত্ব অনেক।
- ওটসে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট।
- শরীরের বিভিন্ন ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে ওটসের পুষ্টি উপাদান।
ওটস খাওয়ার নিয়মের শেষ কথা :
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ওটস খাওয়ার গুরুত্ব অনেক।ওটস আমাদের শরীরে পুষ্টি সাধন থেকে শুরু করে নানান ধরনের ক্ষতিকারক রোগ হতে রক্ষা করতে সাহায্য করে।তাই আমরা আমাদের শরীরকে ফিট রাখতে ও সুস্থ সবল করে গড়ে তুলতে ওটস খাওয়ার অভ্যাসটা গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
শিক্ষামূলক ব্লগ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url